অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে এই মিছিল বের করা হয়। জানা যায়, মিছিলটি ধানমন্ডি নাম্বার থেকে শুরু করে শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ মোড় প্রদক্ষিন শেষে ৩২ নাম্বারে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ হুসেন, বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপ- গণশিক্ষা সম্পাদক মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, উপ- মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা, সাবেক সহ-সম্পাদক লাভলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তামজিদ ভূঁইয়া মেঘ, মাস্টার্স দা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব অংশগ্রহণ করে।

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের 

ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এবং আইনের তফসিল -২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

হত্যা - নির্যাতন - ধর্ষণ - যৌন নিপীড়ন ও সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে এই গেজেট জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

গেজেটে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা , নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত  প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এ কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত।

গেজেটে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য - প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।



  

অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গৌতম কুমার বনিক নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করে টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষের লোকজন । ভুক্তভোগী আহত ব্যবসায়ী গৌতম কুমার বনিক (৬১), উপজেলার বারবী ইউনিয়নের রিবর গ্রামের মৃত শ্রী হরি ভক্ত বনিকের ছেলে। 

গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে সাড়ে সাতটার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার বারদী শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রাহ্মচারী আশ্রমের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় আহত ব্যবসায়ী গৌতম কুমার বনিক একই ইউনিয়নের মিশ্রিপাড়া গ্রামের মৃত গনেশ মালাকারের ছেলে লোকনাথ মালাকার (৪৮), উত্তম মালাকার (২০), ও পবন মালাকার (৪৫) নাম উল্লেখ করে আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত ব্যবসায়ী গৌতম কুমার বনিক বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পুজা উৎযাপন পরিষদ সোনারগাঁও উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত পালন করছেন। ২০১৪ সালে তার ওপেন হার্ট সার্জারী হয়। গৌতম কুমার বণিকের উপর হামলাকারী পবন মালাকার দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবনকারী এবং এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল।

তাদের অপরাধ কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়ার কারনে হামলাকারীরা বিভিন্ন সময়ে গৌতম কুমার বণিকে মারপিট করিয়া খুন-জখম করার হুমকি দিয়া আসিতেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে লোকনাথ মালাকার, উত্তম মালাকার ও পবন মালাকার

অজ্ঞাতনামা ৩/৪ সঙ্গীসহ দা, লোহার রড, লাঠি সোঠা, দেশীয় অস্ত্র দন্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোনারগাঁও থানাধীন বারদী শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রাহ্মচারী আশ্রমের প্রধান গেইটের সামনের রাস্তায় গৌতম কুমার বণিকের পথরোধ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে মারাত্মকভাবে আহত করে। এবং তার সঙ্গে থাকা নগদ দশ হাজার টাকা ও গলা থেকে এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

এসময় গৌতম কুমার বণিকের ডাক- চিৎকারে দুলাল চন্দ্র দাস (৫৮) নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারীভাবে কিল-ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে।

লোকজন সমাগম হতে থাকলে উক্ত বিষয়ে মামলা করলে তাদের খুন করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আহত গৌতম কুমার বণিকের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে সরকার।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।  

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি গত শনিবার (৫ অক্টোবর) ফেসবুকে করা ওই স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’ যা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

পরে স্ট্যাটাস বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তিনি তার এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। 

নিজের স্ট্যাটাসের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর জন্য যদি আমার চাকরি চলে যায়, আমার সমস্যা নাই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, এটা মীমাংসিত সত্য। রিসেট বাটন মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলা, এর মানে কি? তাহলে তো আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আমাদের দেশে সরকার হিসেবে আছে। আমার মনে হয়েছে, আমার দায়িত্বশীল জায়গা এটাই। বলা হচ্ছে জুলাই গণহত্যা, এগুলো সবই তদন্ত সাপেক্ষে, মীমাংসিত সত্য না। এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি তো।

তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস মিলেছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।




 

অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আতাউর রহমান নামের বিএনপির এক নেতাকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের বিষয়টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বিচার সালিশের নামে বাবুল, রাকিব, নিজাম উদ্দীনের একটি সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দীন। প্রতিবাদে নিজাম উদ্দীন বলেন, আমি , বাবুল, রাকিব বিচার সালিশের নামে কখনো কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। অথচ আমাকে সহ বাবুল, রাকিবকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ।

প্রকাশিত সংবাদে নিজাম সিন্ডিকেট নামে যে সিন্ডিকেটের কথা বলা হয়েছে সেই সিন্ডিকেটের কোন অস্তিত্ব নেই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অবতারণা করা হয়েছে শুধুমাত্র আমাকে সহ সোনারগাঁ উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব বাবুল, যুবদল নেতা রাকিবকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি আমাদের ক্ষতি করার জন্য। আমি এই মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শাওন (২২) নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ওই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার (১ সেপ্টেম্বর)) বিকালে উপজেলার বারদী স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) আহত কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাওনের বড় ভাই সোহেল রানা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বারদী ইউনিয়নের নাগপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে শাওন বারদী স্ট্যান্ডের আল মদিনা মার্কেটের সামনে দীর্ঘদিন ধরে তরকারি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। বেশকিছু ধরে একই ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে শাহীন ও সিফাত তাদের ৮/১০ জন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে শাওনের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছে এবং তাদের দাবিকৃত চাঁদা না পরিশোধ না করলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে শাওনকে হুমকি দিচ্ছিল।

সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে আড়াইটার দিকে শাহীন ও সিফাতের নেতৃত্বে আনার হোসেন, হযরত আলী, শাওন, আমান, সাগর, জামালসহ আরো ৩/৪ অজ্ঞাত চাঁদাবাজরা রামদা, চাপাতি, ছুরি, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বারদী স্ট্যান্ডের আল মদিনা মার্কেটের সামনে তরকারি ব্যবসায়ী শাওনের দোকানে গিয়ে তার কাছ থেকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

এসময় ব্যবসায়ী শাওন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এবং হামলাকারীরা শাওনের দোকান ভাঙচুর করে ক্যাশ বাক্স থেকে ১৪ হাজার টাকা লুট করে। এসময় ব্যবসায়ী শাওনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন আহত ব্যবসায়ী শাওনকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মহসিন জানান, এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।








অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্যে একথা বলেন।

বুধবার (২১ আগস্ট) খেলাফত মজলিস সোনারগাঁ উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলার হাবিবপুর ঈদগাঁ ময়দানে এই প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব শাইখুল হাদীস মাওলানা মামুনুল হক উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৬ বছর অন্ধকার সময়ে আমাদের চেপে বসেছিল এক জালিম।তাদের বিশ্বাস ছিল কেউ তাদের নামাতে পারবে না। তাদের ইচ্ছা লক্ষ মানুষ হত্যা করে হলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতা চালিয়ে যাবেন।

আমরা বলেছিলাম আপনার পিতার ভাস্কর্য নির্মাণ করার দরকার নেই, জাতির সামনে আপনার পিতাকে আর অপমানিত করবেন না। তাই আমাকে গ্রেফতার করলেন, আমাকে নিয়ে জাতীয় সংসদে আক্রমণাত্মক কথা বললেন, আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান লেলিয়ে দিলেন। তখন আমাদের কথা মানলে দেশে এতো লাঞ্ছনা বরণ করতে হতো না তাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। তাকে ধরে এনে সকল হত্যা ও গণহত্যার বিচার আমাদের আদায় করতে হবে।

মাওলানা মামুনুল হক আরো বলেন, এ সংগ্রাম জুলাই থেকে শুরু হয়ে আগস্টে এসে সফলতা অর্জন হলো। এর পিছনে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ সংগ্রামে অনেক ভাইয়ের রক্ত রয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, ২০২১ সালে মোদীর মতো নরঘাককে নিয়ে হেফাজত ইসলাম প্রতিবাদ করার অপরাধে পাখির মতো গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছিল। ২০২৪ সালে নির্বাচনেও গোটা দেশের মানুষকে জিম্মি করে দিল্লির সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি আজ আমাদের প্রিয় ভাই মাওলানা ইকবাল সাহেবকে গভীরভাবে স্মরণ করছি। তার মৃত্যু আমাকে অনেক বেশি মর্মাহত করেছে। আমার কারা জীবনের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ছিল এটি । আমি সোনারগাঁ, বন্দর, গজারিয়া ও আড়াইটার থানার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এসময় তিনি বলেন, আল্লাহ রাসূল বলেছেন যাদের অত্যাচার, অবিচার অতিরিক্ত তাদের কোনো ক্ষমা নেই। সোনারগাঁয়ে শতশত মানুষের উপর নিপীড়নের জন্য কিছু মানুষ দায়ী। প্রয়োজনে তাদের তালিকা করে সোনারগাঁয়ে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এদেশের মানুষের সাথে কাজ করতে হলে তাদের হৃদয়ের আবেগ বুঝতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ করে হয়তো ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কিন্তু সেই ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে না। দিল্লিতে বসে কেউ যদি শাহজালালের বাংলাদেশকে নরেন্দ্র মোদীর স্বার্থের বলি বানানোর স্বপ্ন দেখে।  আমরা তাদের বলতে চাই রক্ত দিয়ে যেভাবে স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেওয়ার পরও বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জায়গা হয়নি। এদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদের মেনে নেবে না।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সোনারগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক ও ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের সোনারগাঁ শাখার মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন, খেলাফত মজলিশের সোনারগাঁ শাখার সভাপতি হাফেজ কারি আব্দুল আউয়াল সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক নেতৃবৃন্দ। পথসভা শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়ার মাধ্যমে মাগফেরাত কামনা করা হয়।





অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নানারকম অস্থিরতা, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, গুজব ও অপপ্রচার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা ও পৌর বিএনপি'র নেতাকর্মীদের উদ্দ্যোগে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কাদিরগঞ্জে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের বাসভবনে এই মতবিনিময় সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভা ও সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান তার বক্তব্যে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদরা আমাদের তাজ। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি আছে। তাদের চিকিৎসা ও সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে। সোনারগাঁয়ে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো হামলা বা ভাঙচুর করা হয়নি। সোনারগাঁ উপজেলা, থানা ও বারদী আশ্রম বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দিন-রাত পাহারা দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করছে। সুযোগ সন্ধানীরা অপপ্রচার চালিয়ে বিএনপির উপরে দায় চাপাতে চাচ্ছে।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি আরো ১০০ বছরে যদি ক্ষমতায় না আসে, তাও আওয়ামী লীগ ও জাপাতে যোগ দেওয়া সুবিধাবাদী নেতাকর্মীদের বিএনপিতে নেওয়া হবে না।

মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, রফিকুল ইসলাম বিডিআর, যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নিজামউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব, সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বার, যুগ্ম সম্পাদক সাদেকুর রহমান সেন্টু, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, আলমুজাহিদ মল্লিক, বিএনপি নেতা নোবেল মীর, যুবদল নেতা মোহাম্মদ সোহেল সহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Powered by Blogger.