নিষিদ্ধ ঘোষণার কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে ধানমন্ডিতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে এই মিছিল বের করা হয়। জানা যায়, মিছিলটি ধানমন্ডি নাম্বার থেকে শুরু করে শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ মোড় প্রদক্ষিন শেষে ৩২ নাম্বারে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ হুসেন, বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপ- গণশিক্ষা সম্পাদক মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, উপ- মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা, সাবেক সহ-সম্পাদক লাভলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তামজিদ ভূঁইয়া মেঘ, মাস্টার্স দা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব অংশগ্রহণ করে।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের
ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এবং আইনের তফসিল -২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
হত্যা - নির্যাতন - ধর্ষণ - যৌন নিপীড়ন ও সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে এই গেজেট জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
গেজেটে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা , নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এ কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত।
গেজেটে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য - প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।