আড়াইহাজারে কোটি কোটি টাকা নিয়ে সমিতি উধাও

অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ  আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ২হাজার ১শ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে "গণপ্রত্যাশা বহুমুখী সমবায় সমিতি" নামে একটি প্রতিষ্ঠান উধাও হয়েছে। তাদের চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া করোনা পরিস্থিতির আগে থাকতে শুরু হলেও গ্রাহকেরা তা বুঝতে পারেননি। অবশেষে ৩১ অক্টোবর (শনিবার) থেকে তাদের আর কোন হদিসই পাওয়া যাচ্ছেনা বলে ভুক্ত ভোগিরা অভিযোগ করেন। উপজেলার মেঘনা নদী বেষ্টিত দূর্গম কালাপাহাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


কালাপাহাড়িয়া গ্রামের মৃত আঃ রহমানের মেয়ে আয়েশা আক্তার ওরফে বিউটি জানান, গত প্রায় ৮ -১০ বছর যাবত ওই ইউনিয়নের ইজেরকান্দী গ্রামের জব্বার হাজীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম তার নিজস্ব কিছু লোকজন নিয়ে তাদের নিজ বাড়ীতে ওই সমিতির নামে একটি অফিস খুলে ব্যবসা শুরু করেন। ইতিমধ্যে তাদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ১ শত জন। প্রত্যেক গ্রাহক ৩ লাখ থেকে শুরু করে ১০-১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সমিতিতে জমা রাখেন। এর মধ্যে তার নিজের রয়েছে ৮ লাখ টাকা। তার অপর বোন সাদিয়া আক্তারের  রয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, তার অত্মীয় সেলিনা আক্তার বেবী এর রয়েছে ৬ লাখ টাকা।

এমনি ভাবে ওই সমিতিতে ২ হাজার ১শত গ্রাহকের সমস্ত টাকা জমা রয়েছে। কথা ছিলো সমিতি গ্রাহকদেরকে প্রতি লাখে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে লাভ দিবেন। এমতাবস্থায় করোনার প্রাদুর্ভাভ শুরু হওয়ার পর থেকে সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সুফিয়া বেগম, প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফজলুল হক ওরফে ফজুল্লাহ, ম্যানেজার সফিউল্লাহ সুমন, সচিব ও পরিচালক মুক্তি আক্তার এবং ক্যাশিয়ার রাশেদ রাজন অফিসটি গুটিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। গ্রাহকরা বিষয়টি বুঝে উঠার আগেই সমিতির লোকজন ৩১ অক্টোবর অফিসে সব কিছু অগোছালো ভাবে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। এখন তাদের সকল মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় সমিতির ২ হাজার ১ শ সদরেস্যর মধ্যে হায় হায় শুরু হয়েছে। কোন ভাবেই অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

ভুক্ত ভোগি সেলিনা আক্তার বেবী, সাদিয়া আক্তারসহ একাধিক সদস্য জানান, গণপ্রত্যাশা বহুমুখী সমবায় সমিতির সব গুলো লোকই কালাপাহাড়িয়ার স্থানীয়। তারা বেশী দিন আত্মগোপন করে থাকতে পারবেন না। সমিতির লোকজন টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রাহকরা এখন পথে বসেছেন। তারা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান। 

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার উপজেলা সমবায় অফিসে যোগাযোগ করা হলে সহকারী পরিদর্শক আঃ কাদির জানান, সমিতিটি আমাদের অফিসের আওতা ভুক্ত। তবে এ ব্যাপারে আমাদের নিকট কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।