অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ফটকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সোনারগাঁও পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগিতা সংগঠনের আয়োজনে জিআর ইন্সটিটিউট স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ্ আল কায়সার হাসনাত।
পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনূর ইসলাম রুমা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান, সোনারগাঁও উপজেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শেখ এনামুল হক বিদ্যুৎ ।
এসময় বক্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে জিআর ইন্সটিটিউটের স্কুলের গেইট ও দেয়াল নির্মাণের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাই ফলকে উদ্বোধক হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাদের সবার প্রিয় নেতা আনোয়ার হোসেনের নামফলক লাগানো হয়েছে। যেহেতু জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে তাই নামফলকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম থাকাটাই স্বাভাবিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় বিনা ভোটে নির্বাচিত বিএনপি জামায়াত মিশ্রিত জাতীয় পার্টির সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার নির্দেশে সেই নামফলক ভেঙে দিয়েছে।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বিএনপি জামায়াতের প্রেতাত্মা হিসেবে কাজ করেছে। সে এই নামফলক ভেঙে আওয়ামী লীগের দয়ায় এমপি হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সে এই নামফলক ভেঙে জিআর ইন্সটিটিউট স্কুল সহ সোনারগাঁওয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তাই লিয়াকত হোসেন খোকাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা তথা দেশের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আনোয়ার হোসেন ভাইয়ের কাছে জনসমক্ষে নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি সে তা না করে তাহলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষমা করবে না। দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবেন।
নামফলক ভাঙার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সোনারগাঁও উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
Post a Comment