অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ আনােয়া্র ইস্যুতে সােনারগাঁ আওয়ামী লীগের আহবায়ক কেন কোনাে প্রতিবাদ বা কর্মসূচি গ্রহণ করেনি, সে কারণ দর্শানাের চিঠি দিতে জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজা আজম। গতকাল তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনােয়ার হােসেনের উপস্থিতিতেই মুঠোফোনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করাসহ এই নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা পরিষদকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা। দিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, জিআর স্কুল এন্ড কলেজ গেটেস্থাপিত আনােয়ার হােসেনের উদ্বোধনী নামফলক ভেঙে দেয়া হয়েছিল। জাতীয় পার্টির সাংসদ লিয়াকত হােসেন খােকার নির্দেশে এই নামফলক ভাঙা হয় বলে অভিযােগ উঠে। এই ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ, কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এছাড়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সােনারগাঁয়েও বিক্ষোভ করা হয়েছিল। পাশাপাশি সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাতের উদ্যোগেও প্রতিবাদ, মানববন্ধন হয় জিআর স্কুলের সামনে। তবে, এ ঘটনায় একদমই চুপ ছিল সােনারগাঁ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি। এই ঘটনায় তারা কোনাে প্রতিবাদ, নিন্দা জানায়নি। কোনাে রকম কর্মসূচিও তারা দেয়নি। আর এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিকের কাছে তুলে ধরেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি আনােয়ার হােসেন।গতকাল আনােয়ার হােসেন সকালের দিকে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দলীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পুরাে ঘটনাটি তিনি এই নেতার কাছে তুলে ধরেন। এই সময় মির্জা আজম আনােয়ার হােসেনের উপস্থিতিতেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে ফোন করেন এবং সােনারগাঁ আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি এই ঘটনায় কেন কোনাে কর্মসূচি গ্রহণ করেনি জানতে চান। পরে কেন্দ্রীয় এই নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে সােনারগাঁ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিকে শােকজ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন বলে বিশ্বস্ত ওই সূত্রটি জানিয়েছে। এদিকে একই ইস্যু নিয়ে ওই দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদিরের সাথেও সাক্ষাৎ করেছেন আনােয়ার হােসেন। পুরাে ঘটনা বিস্তারিত তিনি দলটির এই সাধারণ সম্পাদকের কাছে খুলে বলেন। দলীয় সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী সভাপতি আনােয়ার হােসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি বলেন, “দলীয়ভাবে যাইনি, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে গিয়েছি। বিষয়টি তারা প্রধানমন্ত্রীকেও জানাবেন। এছাড়া আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমার সামনেই জেলার প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছিলেন এবং সােনারগাঁ আওয়ামী লীগকে কারণ দর্শানাের নােটিশ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। “এদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই’র মুঠোফোনে এবাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার পক্ষ থেকে কোনাে রকম বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সােনারগাঁ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন’ “আমাদেরকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানাে হয়নি। আর আমরা ফলক ভাঙার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছি। বলেছি এটা নিন্দনীয়। এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হােসেনকে মামলা করতে বলেছি। কিন্তু তারা মামলা করেনি। আর এটাতাে এমপি খােকা ভাঙে নাই। কে বা কারা ভাঙছে সেটিও আমরা জানি না । তাহলে আমরা কী বলবাে, কাকে বলবাে।” সুত্র যুগেরচিন্তা "
Post a Comment