ইউপি সদস্য মোঃ শিপন সরকারের ফেসবুক স্ট্যাটাস

অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ শিপন সরকার সম্প্রতি সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের সিমানা প্রাচীর ও মূল ফটক উদ্বোধকের নাম ভেঙে ফেলা, সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এডঃ সামছুল আলম ভূঁইয়াকে নিয়ে রবিবার (২২ নভেম্বর) তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। 

পাঠকদের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো। 


নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থে সোনারগাঁ জিআর ইনস্টিটিউশন স্কুলের সৌন্দর্য বর্ধনে সীমানা প্রাচীর ও ফটক নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের ফলক জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা তার লোকজন দিয়ে ভেঙে দিয়েছে । যারা রাস্তা ঘাটে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির পরিচয় দিয়ে বেড়ায় তার আজ কোথায় ?

২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত জোট সরকার দুর্বিষহ শাসনামলে মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করেছে। সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, বর্তমানে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, খুন, ঘুমের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। হামলা মামলার স্বীকার হয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আজকের উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পরিচয় দানকারী এডঃ সামছুল ইসলাম ভূঁইয়ার হদিস পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগের দয়ায় বিনা ভোটের জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বিএনপি-জামায়াতের একাধিক মামলার আসামীদের তার দলে ভিড়িয়ে এখন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের অত্যন্ত প্রিয় নেতা ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ আনোয়ার হোসেন ভাইয়ের নামফলক ভেঙে দিয়ে লিয়াকত হোসেন খোকা তার ষড়যন্ত্রের প্রমাণ দিয়েছেন।

এমপি খোকা নামফলক ভেঙে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আঘাত করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে আঘাত করেছে, আঘাত করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে, আঘাত করেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারন কারী প্রতিটি নেতাকর্মীকে। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের মুরব্বি আনোয়ার ভাইয়ের নামফলক ভেঙে দিয়েছে অথচ তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তবুও কোথাও কোন প্রতিবাদ নেই তাদের। 

প্রতিবাদ না থাকার কারন হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পরিচয়ধারী এডঃ শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার অনুসারীরা জাপা এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার প্রেতাত্মা হয়ে কাজ করছেন। এই প্রেতাত্মারা আজ প্রতিবাদ করছে না কিন্তু আগামীতে লোক দেখানো প্রতিবাদের অভিনয় করবে। আওয়ামী লীগের দয়ায় বিনা ভোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার যেমন খুশী তেমন সাজো'র মতো শিখিয়ে দেওয়া গল্পে প্রতিবাদের অভিনয় করবে।

যারা আহ্বায়ক কমিটি নেতা বলে পরিচয় দেয়, তারা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হতেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী হতেন, তাহলে বিএনপি জামায়াত মিশ্রিত জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার অনুসারী হতেন না।

এমপি খোকা প্রায় সময় মিটিং মিছিলে বলে থাকেন আমার মাতৃতুল্য শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যিনি মায়ের সাথে তুলনা করতে পারেন তিনি অন্তত শেখ হাসিনার উন্নয়ন কাজের নাম ফলক ভাংচুর করতে পারে না। কিন্তু খোকা সাহেব তাই করেছেন। তিনি তার ব্যক্তি সুবিধার জন্য তার ব্যানার ফেস্টুনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জনো নেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করছেন অসদুপায়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য । 

সোনারগাঁওয়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিঃশেষ করার জন্য। জাতির পিতার ছবি সবাই ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু তা যেনো কোন অসদুপায় অবলম্বনের জন্য না হয়। আমি আওয়ামী লীগের একজন সচেতন কর্মী হিসেবে দলের উচ্চপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করছি জাপা এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা যেনো আগামীতে তার কোনো ব্যানার-ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করতে না পারে। কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের কাছে দাবি জানাচ্ছি লিয়াকত হোসেন খোকা যেনো তার ব্যানার - ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহারে নিষেধ আরোপ করা হোক।

আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী, আমাদের মনে রাখতে হবে সোনারগাঁওয়ের বাতাসে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কতিপয় আহ্বায়ক কমিটির পরিচয় দানকারী নেতারা সাম্প্রদায়িক অশুভশক্তি হয়ে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছে। সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।