তাহিরপুরে আলীয়া মাদ্রাসায় নিয়োগে ৩০ লক্ষ টাকার ঘুষ বানিজ্যের আভিযোগ

অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর হিফজু উলুম সিনিয়র আলীয়া মাদ্রাসার ৬টি বিভিন্ন পদে প্রায় ৩০লাখ টাকার ঘুষে বানিজ্যে জামায়াতে ৩জন, বিএনপি ২জন ও এক জন ছাত্রলীগের লোক নিয়োগের অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ কারীরা হলেন,জাহাঙ্গির আলম ভুইয়া,অপু মিয়া,শবনম আক্তার,রুবি আক্তার।

অভিযোগ কারীরা বলেন,এই নিয়োগ জায়েজ করতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী ও তার লোকজন নিয়েছে কুট কৌশল।তারা নিজ মাদ্রাসায় ও জেলায় নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে সিলেট বিভাগের আলীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল(ডিজির প্রতিনিধি)কে ম্যানেজ করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়।তারা আরো বলেন,পরীক্ষায় জালিয়াতি করার জন্য উপজেলা রেখে সিলেট আলীয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষা নেয়া হয়।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে ,গত মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সিলেট আলীয়া মাদ্রাসায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সেই পরিকল্পনা মাফিক আগ থেকেই ডিজির প্রতিনিধিকে ম্যানেজ করে এনিয়োগ পরীক্ষা সকাল দশটায় শুরুর কথা থাকলেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয় ও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তাহিরপুর হিফজু উলুম আলীয়া মাদ্রাসার ম্যানেজিং সভাপতি আমিনুল ইসলামের আপন চাচাত ভাই ও কমিটির সদস্য তালিমুল ইসলাম।পদ গুলো হল,অধ্যাক্ষ,উপাদক্ষ্য, হিসাব রক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার, নাইটগার্ড ও আয়া।

আপন ভাই শরীফ মিয়া(দল জামায়াত),উপাদক্ষ্য পদে একজন(জামায়াত)। হিসাব রক্ষক পদে সভাপতি আমিনুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে এক জন বিএনপি ও জামায়াতে গুরুত্বপূর্ন পদে রয়েছে তার বাবা,চাচা,ভাই। তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের মুতাসিম বিল্লাহ। নিরাপত্তা রক্ষী পদে সভাপতির নিজস্ব লোক। আয়া পদে ভাটি তাহিরপুর গ্রামের একজন মহিলা সভাপতির পাশের বাড়ি নিজস্ব লোক দল (বিএনপি)। সভাপতি নিজের বউ,চাচাত ভাই বিএনপি,জামায়াতের লোকদের নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার দিন সকাল থেকে চালায় ব্যাপক তৎপরতা আর তিনটি পদে মোট তিনজন প্রার্থী রাখেন।

অফিস সহকারীসহ অন্যান পদেও সিলেক্টেড করে লোক নিয়ে প্রশ্ন আগেই দিয়ে দেয়।এক্ষেত্রে তাও মানা হয়নি। ভুয়া সনদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অশিক্ষিতদের নিয়োগ দেন। এখানে প্রকৃত মেধাবীরা টাকার কাছে হেরে গেছেন। আর মাদ্রাসার সভাপতি হয়ে জামায়াতে ঘাটিতে পরিনত করেছে তা মানা যায় না। তিনি ও তার পরিবারে যুদ্ধাপরাধী রয়েছে। তিনি নিজেও যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী। এই নিয়োগ বাতিল করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এ ব্যপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি (তদন্ত) পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।