অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নরায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বৃহত্তর মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের মুখে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ও খাগকান্দা ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম। নদী থেকে অবাধে বালি উত্তোলনের কারণে গ্রামগুলো ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বলে দাবী এলাকাবাসির।
মেঘনা নদীর আড়াইহাজার উপজেলার সীমানার ভিতরে প্রবেশ করে কুমিল্লার মেঘনা এলাকার একটি মহাল অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে দীর্ঘ দিন যাবত। কুমিল্লার মেঘনা থানার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ লতিফ প্রতিদিন ৫০-৬০টি ড্রেজার বসিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাত করে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার সীমানায় এসে অবাধে বালি উত্তোলন করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন আঃ লতিফ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ফলে মেঘনার ভাঙ্গনের মুখে আড়াইহাজার থানার চরলক্ষীপুর, মধ্যারচর, বিবিরকান্দী, কদমীরচর, বদলপুর, ঝাউকান্দী, উলুকান্দী, খালিয়ারচর,খাগকান্দা, নয়াপাড়া, চরকমলাপুর, ডেঙ্গুরকান্দী, চেঙ্গাকান্দী, মহিষারচর, রামপ্রসাদেরচর, সোনারগাঁও উপজেলার নুনেরটেক ও দয়াকান্দাসহ ২০ টি গ্রাম। এরই মধ্যে এ সমস্ত গ্রাম গুলোর ২০-৩০টি বাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।এলাকাবাসী জানায়, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা জয়নাল, ছাত্তার ও মাহাবুব এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে আঁতাত করেই প্রভাবশালী আঃ লতিফ চেয়ারম্যান তার এ অবৈধ বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক দিন আগে চরাঞ্চলের মহিলারা লতিফ চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে মেঘনার পাড়ে ঝাড়ু মিছিল পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু কিছুতেই বালু খেকোরা খ্যান্ত হচ্ছেন না। ভুক্তভোগী কালাপাহাড়িয়া ইউনয়িনের বাসিন্দা জিয়া প্রধান জানান, আড়াইহাজারের মেঘনা বেষ্টিত কালাপরাহাড়িয়া ও খাগকান্দা ইউনিয়নের ২০ টি গ্রাম কে রক্ষা করতে হলে অচিরেই মেঘনা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন বলেন, আড়াইহাজার এলাকায় মেঘনা নদী থেকে বালি উত্তোলনের সরকারী কোন ইজারা নেই।
Post a Comment