সনদ জালিয়াতির অভিযোগে নরসিংদী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা।। তদন্তে সিআইডি

অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ সনদ জালিয়াতির অভিযোগে নরসিংদীর পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন নরসিংদী জেলা মোটর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আহমেদ রনি কায়সার। মঙ্গলবার ৮ ডিসেম্বর  চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামালাটি রজু করা হয়।আদালত এসএসপি সিআইডি মালিবাগ ঢাকাকে  তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন এবং  আগামী  ২৩ মার্চ ২০২১ইং তারিখের মধ্যে তদন্তপূ্র্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার সূত্র থেকে জানা যায়, আসামি ২০১৫ সালে নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফ নামায় তার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু আসামি জাল-জালিয়াতি করে এইচএসসি পাস দাবি করেছেন এবং প্রতারণা করে সত্য গোপন করেছেন।


 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নরসিংদী সদর ওয়েবসাইটে অভিযুক্ত আসামির শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স/সমমান উল্লেখ রয়েছে। যা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়েছে। আসামি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে কীভাবে মাস্টার্স/সমমান পাস করলেন এবং নরসিংদী সদর ওয়েবসাইটে শিক্ষা যোগ্যতা মাস্টার্স/সমমান লিখেছেন যা আসামি অসৎভাবে তার প্রকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রতারণা ও জাল জালিয়াতি করেছেন, যা ফৌজদারী অপরাধ।

আসামি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে এসএসসি পাস করেছেন বলে দাবি করলেও ২০১৫ সালের নরসিংদীর পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস না লিখে ৮ম শ্রেণি পাস উল্লেখ করেছেন যা প্রমাণিত হয় যে, তার এসএসসি সাটিফিকেট জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি নিজে সৃজন করেছেন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, আসামী ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভূমি দখল জাল-জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধে অভিযুক্ত। উক্ত মামলার আসামী একটি নারী ধর্ষণ ও পরবর্তীতে সেই নারীকে হত্যা মামলার আসামী। কিন্তু উক্ত আসামী প্রভাব বিস্তার করিয়া মামলার নথি-কাগজপত্র গোপন করিয়াছেন বলে নরসিংদী শহরের সর্বত্র প্রচার রয়েছে এবং এই বিষয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সাহেবের প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। উক্ত মামলার আসামী নরসিংদী সদর থানার আন্তঃজেলা ডাকাতি মামলা যাহার নং-৯(৬)৯২, ধারাঃ দন্ডবিধি আইনের ৩৯৫/৩৯৬ ধারায় আসামি হিসেবে দোষ স্বীকার করিয়া বিগত ১৭/০৬/১৯৯২ইং তারিখে তৎকালীন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট দিল জুয়ারা বেগম এর নিকট ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন যাহা বিগত ১০/০৮/২০১৬ইং তারিখ, স্মারক নং-০৫.৩০.৬৮০০.০৩.০০২.১৪-২৬২ (সং)-এ জনাব আবু হেনা মোরশেদ জামান, জেলা প্রশাসক, নরসিংদী জেলা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ‘মোঃ কামরুজ্জামান এর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ যে, মেযর কামরুজ্জামান কামরুলের ভাবি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলী সাম্প্রতিক প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে হাতেনাতে ধরা পরে মিডিয়াতে সংবাদের শিরোনাম হয়ে নরসিংদী বাসির সম্মানহানি করেছেন।