অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেওয়ায় সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে সন্ত্রাসীরা এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় গৃহবধূর স্বামী বাধা দিতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা গৃহবধূ ও তার স্বামীকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এসময় বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই দম্পতিকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধু আঁখি আক্তার শনিবার সকালে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।জানা যায়, বিগত কয়েক মাস আগে আঁখি আক্তারের স্বামী মামুন খন্দকারের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী মোঃ রাজন মিয়ার জমিজমা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরে প্রায় একমাস আগে প্রভাবশালী মোঃ রাজন মিয়ার নেতৃত্বে তার সহযোগী ভাড়াটিয়া ৮ -১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে ও তার স্বামী মামুন খন্দকারসহ ৪ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ২ আসামিকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে। আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে গত কয়েকদিন যাবত ওই মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি প্রদান করতে থাকে।
মামলা তুলে না নেওয়ায় গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজনের সহযোগী আলালের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে অসহায় মামুন খন্দকারের বাড়িতে আবারো হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা মামুন খন্দকারের স্ত্রী আঁখি আক্তারকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় ও মারধর শুরু করে। আঁখি আক্তারের আর্তচিৎকার স্বামী মামুন খন্দকার এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এই ঘটনায় জড়িত স্থানীয় আলাপদী গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে আলাল, কাফরদী গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে সাইদুর, ভাগলপুর গ্রামের কিরণের ছেলে রাজনসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে শনিবার সকালে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, মামলা তুলে না নেওয়ায় গৃহবধূকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post a Comment