অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে ওঠে দেশ-বিদেশের প্রতিটি শহীদ বেদী বা বিজয় স্তম্ভ। অগণিত মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিজয় স্তম্ভে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এখানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবমাননা করলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বুদ্ধিজীবী বিজয় স্তম্ভে জুতা পায়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
১৬ ডিসেম্বর বুধবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোনারগাঁও পৌরসভার চিলারবাগ এলাকায় শহীদ মজনু পার্কে অবস্থিত বুদ্ধিজীবী বিজয় স্তম্ভে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন ও পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক শাহজাহান সহ বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মান্নান কে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়।
মান্নান শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যাওয়ার পর তার ছেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সজিবও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে জুতা পায়ে শ্রদ্ধা নিবেদন কারেন। এসময় বিজয় স্তম্ভে জুতা পায়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফটোশেসন করতেও দেখা যায় তাকে। একই ধারাবাহিকতায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা। জুতো পায়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের শহীদবেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আমাকে ব্যথিত করেছে।
সোনারগাঁও উপজেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ বলেন, আমি আশ্চার্য হয়েছি তাদের দৃষ্টতা দেখে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের উপর এরা আঘাত করেছে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াই, লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। জাতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করে এই বীর শহীদদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা।
বিএনপির নেতাকর্মীদের এই আচরণ দেখে আমি বাধা দিয়েছি, প্রতিবাদ করেছি কিন্তু তারা জুতো পায়ে কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। তাদের নুন্যতম শ্রদ্ধা জানাতে যাদের অনাগ্রহ, এই পাকিবীজদের এদেশে থাকার কোন অধিকার নেই বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বিজয় স্তম্ভে জুতা পায়ে দিয়ে কেউ উঠেছে কিনা আমার জানা নেই। আমি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তবে কেউ যদি বিজয় স্তম্ভে জুতা পায়ে দিয়ে উঠে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাহলে এটা শহীদদের অবমাননা করা হয়।
Post a Comment