অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিদ্যুতের মুল্য হার (ট্যারিফ) পরিবর্তন করে প্রি-পেইড মিটারে অভিনব কায়দায় বিদ্যুত চুরির ঘটনা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজস করে প্রি-প্রেইড মিটারের মূল্য হার পরিবর্তন করার অভিযোগে ইতিমধ্যে ২১জন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি -২ এর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আড়াইহাজার জোনাল অফিসের ১১ জন ও গোপালদী জোনাল অফিসের ৯ জন শিল্প গ্রাহক রয়েছে। হেক্সিং নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আক্তারুজ্জামান ও তার সহযোগী সুমন, রাজু, সিদ্দিক এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা এই অনিয়মের সাথে জড়িত থাকায় আড়াইহাজার জোনাল অফিসের এজিএম হাসান তারেক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মিটার চেকিং এর সময় শিল্প গ্রাহকদের অনিয়ম ধরা পরায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করণসহ তাৎক্ষনিকভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গ্রাহকদের মৌখিক ও লিখিত স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হেক্সিং নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আক্তারুজ্জামান ও তার সহযোগী সুমন, রাজু, সিদ্দিক এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাহক এই অনিয়মের সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হেক্সিং এর প্রতিনিধি গোপালদী জোনাল অফিসের আওতায়ও শিল্প গ্রাহকের বিদ্যুতের মুল্য হার (ট্যারিফ) পরিবর্তন করে বিপুল পরিমানের টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বারেক টেক্সটাইল মালিক আব্দুল বারেক (হিসাব নং ১৪৭/২৬৮০) জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হেক্সিং এর প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামানের মাধ্যমে টাকা রিচার্জ করায় পূর্বের চেয়ে টাকা কম কাটতো। এই লোভে তার কথায় রাজি হয়ে রিচার্জ শুরু করি। ফলে আগে সাত দিনের টাকায় ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত কারখানা চলতো। আব্দুল বারেকের মত শিল্প গ্রাহক আমিনুল, মাসুদ রানা, আব্দুল হালিম, মোক্তার হোসেন, আব্দুল বাতেন, ওসমান, বিল্লালসহ অভিযুক্তরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ফাঁদে পা দেয়ায় নিজেরা অনুতপ্ত বলে স্বীকার করেন।
নারায়ণঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আড়াইহাজার জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দা ফারজানা ইয়াসমিন জানান, গ্রাহক ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হেক্সিং এর যোগসাজসে ট্যারিফ পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ চুরি ঘটনায় কয়েক মাসে প্রায় ২০ লাখ টাকা সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কতৃর্ক একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করছে। যেহেতু কারখানায় অনেক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত অর্থের তিনগুন অর্থ পরিশোধ ও অঙ্গীকারনামা গ্রহণ সাপেক্ষে পুনঃসংযোগের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মামলায় এজাহারে হেক্সিং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আক্তারুজ্জামান ও তার সহযোগী সুমন, রাজু, সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
Post a Comment