আওয়ামী মটর চালক লীগের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

অনলাইন সোনারগাঁও.কমঃ বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি হাজী মোঃ আলী হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সানোয়ার হোসেন চৌধুরী দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি হাজী মোঃ আলী হোসেন বলেন, আজ বাঙালী জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন দিন। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের ৪৯ বছর পূর্ণ হলো। মুক্তির জয়গানে মুখর কৃতজ্ঞ বাঙালি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আজ স্মরণ করবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।


৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ’৫৭-র স্বায়ত্তশাসন দাবি, ’৬২ ও ’৬৯-এর গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মার্চে দুরন্ত বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির সংগ্রামে। ২৫শে মার্চ কাল রাতে পাকিন্তানী বর্বর বাহিনী শুরু করে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। দখলদার বাহিনীকে বিতাড়নে শুরু হয় অদম্য সংগ্রাম।

দীর্ঘ নয় মাসের এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ভেতর দিয়ে, বহু ত্যাগ-তিতীক্ষা আর শহীদদের অমূল্য জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়। এ বিজয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালেই তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়ে, আবেগে সার্বক্ষণিক উপস্থিতি ছিল এ মহান নেতার। আজকের এই দিনে স্বশ্রদ্ধ সালাম এই মহান নেতার প্রতি। বিনম্র শ্রদ্ধা আর গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের।

আমরা স্বপ্ন দেখি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ সমৃদ্ধতায় বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর সাথে এক কাতারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সানোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু এই স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মকে। কেননা স্বাধীনতার পর থেকেই এ দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করার জন্য ছিল হাজারো অপচেষ্টা। যা বর্তমান সময়েও অব্যাহত রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে তাই শপথ নিতে হবে, মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নতুন মুক্তিসংগ্রামের সেনানী হয়ে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি কামি তরুণদের।