অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব ও কারুশিল্প মেলা ২০২৪ শুরু হবে।
লোকজ উৎসব ও কারুশিল্প মেলাকে সামনে রেখে গতকাল শনিবার বিকালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি ভবনের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ্- আল- কায়সার হাসনাত।
বাংলাদেশ লোক ও ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দেশীয় সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্পমেলা ও লোকজ উৎসব চলাকালীন আইন-শৃংঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং লোকজ উৎসব বর্ণাঢ্যভাবে আয়োজনের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সনমানন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ মাহবুবুর রহমান বাবুল, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ সহ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু হয়ে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে। মেলা চত্বর প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
এবার মেলায় সাধারণ স্টল ও কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ সর্বমোট স্টলের সংখ্যা ১০০টি, এতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬৪জন কারুশিল্পী সক্রিয়ভাবে অংশ নিবেন। এ বছর মৌলভীবাজার ও ঝালকাঠীর শীতল পাটি, মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি ও মাটির পুতুল, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁ, টাঙ্গাইল ও ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশ বেতের কারুশিল্প, ঐতিহ্যবাহী জামদানি, কাঠের চিত্রিত হাতি-ঘোড়া-পুতুল, বন্দরের রিকশা পেইটিং, কুমিল্লার, তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্প, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল, বগুড়ার লোকজ খেলনা ও কুমিল্লার লোকজ বাদ্যযন্ত্রের শিল্পীসহ মোট ১৭ জেলার কারুশিল্পীগণ মেলায় অংশ নিবেন। প্রতিবারের ন্যয় এবারও মেলায় বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে কারুশিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ১৫টি স্টল প্রদান করা হয়েছে।
মেলায় প্রতিদিন সান্ধ্যকালীন লোকজ মঞ্চে পালাক্রমে বাউলগান, পালাগান, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালীগান, জারি-সারিগান, হাছন রাজারগান, শাহ আব্দুল করিমের গান, লালন সঙ্গীত, ক্ষুদ্র- নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ নৃত্যনাট্য, গ্রামীণ খেলা, লাঠিখেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, চর্যাগান, লোকগল্প বলা ইত্যাদি অনুষ্ঠান পরিবেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
Post a Comment