অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে মাসব্যাপী ৩৩ তম লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটায় ফাউন্ডেশনের ময়ূরপঙ্খী লোকজ মঞ্চে মেলার উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ - ৩ আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ্-আল-কায়সার।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মোঃ ইমরুল চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরুন্নবী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন,পুলিশ সুপার, ঢাকা রিজিয়ন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ঢাকা। সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ, সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি, সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী তৈয়বুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আমজাদ হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কাজী নজরুল ইসলাম। কাজী নজরুল ইসলাম জানান, মেলা চত্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে।
এবার মেলায় সাধারণ স্টল ও কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ সর্বমোট স্টলের সংখ্যা ১০০টি, এতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬৪জন কারুশিল্পী সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। এ বছর মৌলভীবাজার ও ঝালকাঠীর শীতল পাটি, মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি ও মাটির পুতুল, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁ, টাঙ্গাইল ও ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশ বেতের কারুশিল্প, ঐতিহ্যবাহী জামদানি, কাঠের চিত্রিত হাতি-ঘোড়া-পুতুল, বন্দরের রিকশা পেইটিং, কুমিল্লার, তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্প, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল, বগুড়ার লোকজ খেলনা ও কুমিল্লার লোকজ বাদ্যযন্ত্রের শিল্পীসহ মোট ১৭ জেলার কারুশিল্পীগণ মেলায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিবারের ন্যয় এবারও মেলায় বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে কারুশিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ১৫টি স্টল প্রদান করা হয়েছে।
মেলায় প্রতিদিন সান্ধ্যকালীন লোকজ মঞ্চে পালাক্রমে বাউলগান, পালাগান, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালীগান, জারি-সারিগান, হাছন রাজারগান, শাহ আব্দুল করিমের গান, লালন সঙ্গীত, ক্ষুদ্র- নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ নৃত্যনাট্য, গ্রামীণ খেলা, লাঠিখেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, চর্যাগান, লোকগল্প বলা ইত্যাদি অনুষ্ঠান পরিবেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
Post a Comment