অনলাইন সোনারগাঁ.কমঃ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু জহির উদ্দীন জহিরের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।
সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া চক্রবর্তীপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী আবুল হোসেন জানান, দীর্ঘ প্রায় ৪৪ বছর আগে হাড়িয়া মৌজায় এসএ দাগ-৩২৪ ও আরএস -৩৬১ নং দাগে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করিয়া নামজারী করে ভোগ দখলে আছেন।সম্প্রতি ২০২৩ সালে একই এলাকার তার মামা নাসির উদ্দীনের কাছ থেকে ভুয়া দলিল করে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উক্ত জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে জহির।
নিরীহ আবুল হোসেন ও তার পরিবার তাদের জমিতে কাজ করতে গেলে উক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ জহির তার বাহিনী নিয়ে আবুল হোসেনের ওপর হামলা করে নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আরও ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এঘটনায় সোনারগাঁ থানায় আহত আবুল হোসেন বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরবর্তীতে সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে চাঁদাবাজ জহিরের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করে জহির। পরবর্তীতে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আবুল হোসেন নারায়ণগঞ্জ আদালতে জহির সহ ইসমাইল, কাউসার, আমিনুল ও ফজলুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একটি কোর্ট পিটিশন মামলা করেন। উক্ত মামলার বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে।
অন্যদিকে পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে জমির নামজারী আমার নামে থাকলেও জহিরের নামে বিদ্যুৎ মিটার সাবমিট করে।পরবর্তীতে বিদুৎ অফিসে আমি জমির কাগজ পত্র জমা দিয়ে অভিযোগ দেয়ার পর তারা মিটার কেটে নিবে বলে জানায়।
উক্ত চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম স্বাক্ষী বিল্লাল হোসেন বলেন"জহির একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ।আমাদের এলাকার যেকোন মানুষ জমিতে ঘরবাড়ী তৈরী করতে গেলেই জহিরের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্য ইসমাইল,কাউসার,আমিনুল ও ফজলুল হক গিয়ে চাঁদা দাবী করে।কেউ চাঁদা দিতে না চাইলেই তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়।তারা আমার কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করেছিলো। আমরা এই চাঁদাবাজের হাত থেকে মুক্তি চাই।
মামলার আরেক স্বাক্ষী মোস্তফা মিয়া বলেন, জহির একজন খারাপ প্রকৃতির লোক।আবুল হোসেনের জমিটি যখন পুকুর ছিলো তখন এতো বছর জহির কোন জায়গা পাবে বলে দাবী করেনি।অথচ এখন লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পুকুরে আবুল হোসেন বালু ভরাট করার পর জহির জমি দখলের চেষ্টা করছে।এমনকি চাঁদা দাবি করে হামলা চালাচ্ছে।এমন অরাজকতার জন্য এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।
এ বিষয়ে চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত জহির বলেন, আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে। কোন চাঁদাবাজি আমি করিনি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি কামরুজ্জামান বলেন"এমন কোন মামলা থাকলে সেটা আদালতের বিষয়।আমার এ বিষয়ে জানা নেই।
Post a Comment